মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০০৯


বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার কৃতগ্নতা বোধ
শ্রীল ভক্তি দয়িত মাধব গোস্বামী মহারাজের শিষ্য
শ্রীল মঙ্গল মহারজ
১. বিশ্ব বৈষ্ণব রাজ সভার বিষয় বিগ্রহ শ্রীকৃষ্ণ ও কৃষ্ণ প্রেমের আশ্রয় জাতীয় অবতার দুই প্রকার যথা- প্রেম শাসিত এবং প্রেমের বিষয় বিগ্রহ স্বরূপ, সর্বাকর্ষক প্রকৃত বাস্তব বস্তু এবং সমস্ত জীবের প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ|
২. এই চরাচর বিশ্বে কেবলমাত্র সেই দিব্য প্রেমের আনন্দময় প্রতিপাদক এবং এই প্রেম বিভিন্ন শক্তির মাধ্যমে প্রকাশিত ও মনোহর| শ্রীরাধাকৃষ্ণ লীলা বিষয়ক শ্রবণ ও কীর্তনের নামই সনাতন ধর্ম|
৩. স্বর্গরাজ্যস্থিত দেবগনের সুধর্ম সভায়ই বর্তমানে বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভায় রূপান্তরিত| তত্পরে শ্রীল গোস্বামীগণ দ্বারা এই সভা পরিচালিত হয় ও সুদক্ষ নেতৃত্বে, বিশ্বের নৈতিক ও পরমার্থিক কল্যানের জন্য শ্রীগৌরাঙ্গের মহাবদান্য বাণী প্রচারিত হয়|
৪. তারপর বাংলা সন ১৩০০ সালে উক্ত সভা শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর কর্তৃক পুনজীবিত হয় এবং শ্রীনবদ্বীপ ধাম প্রাচারিনী সভা নাম্নি এই সভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল গৌরবাণীর প্রচার|
৫. শ্রীচৈতন্য ও তত্শাখা সমূহের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মহান আচার্য্য এবং প্রচার কার্য্য সারা বিশ্বে তাহার অত্যুন্নত ব্যক্তিত্বের দ্বারা সম্পাদন করেন|
৬. বিশ্বকোষ হইতে জানা যায় যে এই সমস্ত পূর্বার্নিত আচার্য্যগণ শাস্ত্রীয় সিদ্বান্তে নিরপেক্ষ ছিলেন| তাহারা অতি নম্রভাবে গুরুবাদের মহন্ত পদ্ধতিকে উপেক্ষা করিয়াছিলেন, কারণ এই পদ্ধতি পরমার্থিক উন্নতির পথে এক অভিশাপ| সেখানে গুরুধ্রুবই সত্গুরু বলিয়া বিচারিত হন| সঠিক বৈষ্ণব চরিত্রে আন্তরিকতা কৃতগ্নতা জ্ঞাপন করিলে তত্ক্ষনাত লোক বৃন্দাবনে নীত হয়|

1 টি মন্তব্য:

dasavatara das বলেছেন...

Congratulations dear Sriman Arup Govinda Prabhu for your excellent service to all the Vaishnavas, specially to those who can read Bengali language. (unfortunately I can't do it). Thank you for your blessed inspiration. Hare Krishna.

dasavatara das