বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০০৯
বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০০৯
শ্রী শ্রী নীলাচল পুরী ধামের বালিসাহী এলাকায় পুরীর রাজার সভা পন্ডিত শ্রী শ্রী কাশী মিশ্র এর ভবনের(শ্রী শ্রী রাধাকান্ত মঠ) যে কক্ষে শ্রী শ্রী মহাপ্রভু সন্ন্যাস জীবনের শেষ ১৯বছর নিরবিচ্ছিন্ন্য ভাবে একটানা কাটিয়েছিলেন সেই ঘর কেই গম্ভীরা নামে উল্লেখ করেন গৌড়ীয় বৈষ্ণবেরা| এই নামের পিছনে দুটি কারণ আছে| প্রথম টি হলো ঘর টি কাশী মিশ্রের ভবনের গভীরে অবস্থিত বলে| দ্বিতীয় কারণ হিসাবে কেউ কেউ বলেন ওই ঘরে থাকার সময় মহাপ্রভু গম্ভীর ভাবে কৃষ্ণ ভজনে লিপ্ত থাকতেন বলিয়া ওই ঘরটির নাম গম্ভীরা হয়েছে| এই ঘরের মধ্যে গম্ভীরার সেবায়েত-গণ সযত্নে রক্ষিত করে রেখেছেন মহাপ্রভুর ব্যবহৃত মৃদঙ্গ, ছোট একটি দন্ড, শিক্ষাষ্ঠকমের পুঁথি, কমন্ডলু, স্নান করার পাত্র, বিষ্ণুপ্রিয়া মাতা প্রেরিত খরম ও শচী মাতার নিজহস্তে মহাপ্রভুর জন্য তৈয়ারি শীতের কাঁথা| যে গুলিকে ভক্তরা দর্শন করতে পারেন এটি সহজেই| এছাড়াও ওই ঘরের লাগোয়া একটি ছোট ঘরে মহাপ্রভুর অন্তর্ধান থেকে এখনো ৪৭৬বছর ধরে একটি প্রদীপ অখন্ড ভাবে জ্বলে চলেছে| বর্তমানে গম্ভীরা কে এবং কাশি মিশ্র ভবন কে নতুন করে সাজানোর কাজ চলছে জোর কদমে| তৈরী হচ্ছে নতুন সুদৃশ্য তোরণও|
যমুনা ও কেশী-ঘাট কে ধংসকারী বে-আইনি ব্রীজ তৈরী কে রুখতে এবং বৃন্দাবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের পথ নির্ধারণ করতে বৃন্দাবনের জয়চাঁদ-ঘেরায় বৃন্দাবন ও মথুরার সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট নাগরিক দের সভা তে ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রী লঙ্কার দায়িত্ব প্রাপ্ত ইউনেস্কোর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক দপ্তরের প্রতিনিধি মাননীয় অর্মূগুম পরশুরামেন উক্ত ব্রীজ সহ অনান্য সমস্যার সমাধানের পথ নির্দেশনের সম্বন্ধে আলোচনা করলেন|
শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০০৯
বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০০৯
মহা কুম্ভ মেলা, বৃন্দাবন ২০১০এর
মেলাপ্রাঙ্গনের বিভিন্ন শিবিরের অনুষ্ঠান সূচী
শ্রী শ্রী রাধা শ্যামসুন্দর মন্দির শিবির
রাস-লীলা:- স্বামী শ্রী গৌরগোবিন্দ জী মহারাজ, বৃন্দাবন
নাম-সংকীর্তন:- শ্রী শ্রী নিতাই-গৌর সম্প্রদায় এবং শ্রী শ্রী রাধা-গোবিন্দ সম্প্রদায়
কলকাতার কুমারটুলির শ্রী নবকুমার পালের দ্বারা নির্মিত মৃত্প্রতিমার সাহায্যে কৃষ্ণ-লীলা, গৌরাঙ্গ-লীলা এবং শ্রী শ্রী রাধা শ্যামসুন্দর লীলা প্রদর্শনী
****এছাড়াও দুঃস্থদের খাদ্য, বস্ত্র, কম্বল, শীত-বস্ত্র দান
মহা কুম্ভ মেলা, বৃন্দাবন ২০১০এর উল্লেখযোগ্য স্নানের দিন
২৬ জানুয়ারী, মঙ্গলবার - ভৌমী একাদশী, প্রথম স্নান
৩০ জানুয়ারী, শনিবার - মাঘী পূর্নিমা, দ্বিতীয় স্নান
৯ ফেব্রুয়ারী, শুক্রবার - ফাল্গুনী কৃষ্ণা একাদশী, তৃতীয় স্নান
১২ ফেব্রুয়ারী, শুক্রবার - মহা শিবরাত্রি, চতুর্থ স্নান
১৩ ফেব্রুয়ারী, শনিবার - ফাল্গুনী অমাবস্যা, পঞ্চম স্নান
২৫ ফেব্রুয়ারী, শুক্রবার - ফাল্গুনী শুক্লা একাদশী, ষষ্ঠ স্নান
বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০০৯
হরিদ্বার মহা কুম্ভ মেলা, ২০১০এর উল্লেখ যোগ্য স্নানের দিন
১৪ জানুয়ারী ২০১০, মঙ্গলবার, মকর সংক্রান্তি স্নান-প্রথম স্নান১৫ জানুয়ারী ২০১০, শুক্রবার, মৌনি অমাবস্যা এবং সূর্য গ্রহন-দ্বিতীয় স্নান২০ জানুয়ারী ২০১০, বুধবার, বসন্ত পঞ্চমী স্নান-তৃতীয় স্নান৩০ জানুয়ারী ২০১০, শনিবার, মাঘী পূর্নিমা স্নান-চতুর্থ স্নান১২ ফেব্রুয়ারী ২০১০, শুক্রবার, মহা শিবরাত্রি-প্রথম শাহী স্নান ১৫ মার্চ ২০১০, সোমবার, সোমবতী অমাবস্যা-দ্বিতীয় শাহী স্নান২৪ মার্চ ২০১০, বুধবার, রাম নবমী-পঞ্চম স্নান৩০ মার্চ ২০১০, মঙ্গলবার, চিত্রা পূর্নিমা স্নান১৪ এপ্রিল ২০১০, বুধবার, বৈশাখী-প্রমুখ শাহী স্নান২৮ এপ্রিল ২০১০, বুধবার, শাখ পূর্নিমা-শেষ স্নানশাহী স্নান বৈষ্ণব দের ছয় আখড়া এবং উদাসী আখড়ার: ১৫ মার্চ, ৩০ মার্চ, এবং ১৪ এপ্রিল, ২০১০
হরিদ্বার মহা কুম্ভ মেলা, ২০১০এর উল্লেখ যোগ্য স্নানের দিন
১৫ জানুয়ারী ২০১০, শুক্রবার, মৌনি অমাবস্যা এবং সূর্য গ্রহন-দ্বিতীয় স্নান
২০ জানুয়ারী ২০১০, বুধবার, বসন্ত পঞ্চমী স্নান-তৃতীয় স্নান
৩০ জানুয়ারী ২০১০, শনিবার, মাঘী পূর্নিমা স্নান-চতুর্থ স্নান
১২ ফেব্রুয়ারী ২০১০, শুক্রবার, মহা শিবরাত্রি-প্রথম শাহী স্নান
১৫ মার্চ ২০১০, সোমবার, সোমবতী অমাবস্যা-দ্বিতীয় শাহী স্নান
২৪ মার্চ ২০১০, বুধবার, রাম নবমী-পঞ্চম স্নান
৩০ মার্চ ২০১০, মঙ্গলবার, চিত্রা পূর্নিমা স্নান
১৪ এপ্রিল ২০১০, বুধবার, বৈশাখী-প্রমুখ শাহী স্নান
২৮ এপ্রিল ২০১০, বুধবার, শাখ পূর্নিমা-শেষ স্নান
শাহী স্নান বৈষ্ণব দের ছয় আখড়া এবং উদাসী আখড়ার: ১৫ মার্চ, ৩০ মার্চ, এবং ১৪ এপ্রিল, ২০১০
বৃন্দাবনের বিশ্রাম বট
ভাগবত অনুসারে বৃন্দাবনের রাজপুর ঘাটে ভাগবান শ্রীকৃষ্ণ রাধারানীকে নৌকার মাঝি সেজে কানের সোনার বদলে যমুনা পার করেছিলেন| রাধা-কৃষ্ণ দুই জনাই ছিলেন রাজার মেয়ে| তাই এই ঘাটের নাম রাজপুর ঘাট| পরবর্তী কালে শ্রী শ্রী মহাপ্রভু বৃন্দাবন পরিক্রমাকালে ওই ঘাটের একটি বট গাছের তলায় বিশ্রাম গ্রহণ করেছিলেন এবং রাধা-কৃষ্ণ সময়ের লীলা প্রকট করেছিলেন| জায়গাটির নাম তাই পরবর্তী কালে বিশ্রাম-বট নামে পরিচিত হয়েছে| মহাপ্রভুর বৃন্দাবন পরিক্রমার কিছু দিনের মধ্যেই নবদ্বীপ থেকে শ্রীল মুরারী গুপ্ত প্রভু বৃন্দাবন দর্শন করতে উদ্দ্যোগী হলে তাঁর সেবিত জগন্নাথ দেব তাঁকে অনুরোধ করেন যে শ্রীল মুরারী গুপ্ত প্রভু বৃন্দাবন চলে গেলে তাঁকে ভোগ-রাগ কে নিবেদন করবে, শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব তাঁকেও সঙ্গে নিয়ে বৃন্দাবন যাবার অনুরোধ করলে তাঁর একান্ত অনুগত ভক্ত তাঁকে এবং সঙ্গে তাঁর শঙ্খ, চর্ক্র, গদা, পদ্ম চিহ্ন যুক্ত শালিগ্রাম নারায়ণ-শিলা ও সুদর্শন-চক্র খোদিত শালিগ্রাম নারায়ন-শিলা দুটিকে নিয়ে বৃন্দাবনের পথে দিলেন পাড়ি, বৃন্দাবনে এসে সেই রাজপুর ঘাটের বট বৃক্ষের সন্নিকটে রাখলেন শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব কে এবং নারায়ন শিলা দুটিকে স্থাপন করে প্রতিদিনের ভোগ-রাগ দিতে লাগলেন আর সঙ্গে সঙ্গে বৃন্দাবন ও ব্রজ দর্শন করতে লাগলেন| বেশ কয়েক মাসের ব্রজ দর্শন সমাপ্ত করে পুনরায় নবদ্বীপ ফেরার পরিকল্পনা করলেন শ্রীপাদ মুরারী গুপ্ত প্রভু, যাই হোক ফেরার সব প্রস্তুতির শেষে তাঁর আরাধ্য শালিগ্রাম নারায়ন-শিলা দুটিকে যত্ন সহকারে বুকের মধ্যে নিয়ে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবকে সিংহাসন ওঠাতে গেলে দেখলেন জগন্নাথ আর উঠছেন না| উল্টে তাঁর আরাধ্য দেব তাঁকে আদেশ দিলেন এই যে এটা তার নিজস্ব স্থান, তিনি এখানেই থাকবেন, আর নবদ্বীপ ফিরবেন না, কারণ কৃষ্ণ লীলাতে এখানেই তিনি রাধারানীর কানের সোনার দুল নিয়েছিলেন| শ্রীপাদ মুরারী গুপ্ত প্রভু আরও লক্ষ্য করলেন জগন্নাথ দেবের কান দেখা দিয়েছে, অগত্যা ভক্ত মুরারী গুপ্ত সেই কানে সোনার দুল পরিয়ে শ্রীল জীব গোস্বামীর উপর জগন্নাথের ও তাঁর সেই শালিগ্রাম নারায়ন-শিলা দুটির সেবা-পূজার দায়িত্ব দিয়ে মনের দুখে ফিরে গেলেন| সারা বিশ্বে একমাত্র এখানকার জগন্নাথ দেবের কানের দুল দেখা যায়| এখনো এই মন্দিরে জগন্নাথ দেবের সহিত সেই শালিগ্রাম শিলা দুটিকে দেখা যায়|
মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০০৯
বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার কৃতগ্নতা বোধ
শ্রীল অভয় চরনারবিন্দ ভক্তি বেদান্ত স্বামী মহারাজের শিষ্য
শ্রীপাদ গুরুদেব অতুলানন্দ আচার্য্য প্রভু
আমাদের সম্প্রদায়ের মহত্ব:- প্রিয় বৈষ্ণবগণ ও বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার সদস্যগণ| আপনাদের শ্রীচরণে আমার দন্ডবত প্রনাম| আমি আপনাদের সকলকে আমার আন্তরিক কৃতজ্নতা জানাই| সন ১৯৭২ সালে যখন আমি আমার গুরুদেব শ্রীল অভয় চরনারবিন্দ ভক্তি বেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের নিকট দীক্ষা গ্রহণ করি তখন আমার এই স্বতন্ত্র অনুভব ছিল যে, আমি বিশ্বের প্রাচীনতম ঐতিহ্যময় ঈশ্বরবাদের মধ্যে প্রবেশ করিতেছি| সেই জন্য আমি নিজেকে ভক্তি পরিবারস্থ অনুভব করিয়াছিলাম| সেই সময় আমি নিজ গুরুদেব ব্যাতীত অন্য কাহাকেও জানিতাম না| পরে যখন ইহা লক্ষ্য করিলাম যে, নব নব ভক্তকান্খি দিগের মধ্যে বেশ কিছু কিছু সাম্প্রদায়িকতা দোষ প্রবেশ করিয়া একে অন্যের প্রচার প্রয়াস কে উত্তম মর্য্যদা দিচ্ছেন না, তখন এটা আমার খুব বিচিত্র বোধ হইত| আমি ইহা শিক্ষা করিয়াছিলাম যে কনিষ্ঠ ভক্তগণ হিংসা ও লোভের দ্বারা কখনো প্রভাবিত হইবার যোগ্য| এমনকি তাহারা স্ব সংঘকে পর্য্যন্ত নষ্ট করে| আমার গুরুদেব একবার বলিয়াছিলেন বহিজগতের কোন ব্যক্তি আমাদের ক্ষতি করিতে পারিবে না| কিন্তূ আমরা স্বয়ং সংঘস্থিত ব্যক্তিগন স্ব-কার্যে যত্নশীল না হই তাহলে নিজ নিজ ধংস হইবে|
পরিশেষে আমি আমার গুরুদেবের এবং পরম্পরায় মহত্বের বিষয়ে চিন্তা করিয়াছিলাম| যদিও এই মহানতা নিশ্চিতভাবে নিজ ঐতিহ্যই নস্ত্য| সেই দিব্য শ্রীচৈতন্য বৃক্ষের বহু সুন্দর শাখা প্রশাখায় অসংখ্য বৈষ্ণব পরবার রহিয়াছেন| তাহাদের সকলের প্রচার প্রচেষ্ঠা সাধারণের চক্ষে কখনো বৈসাদৃশ্যমুক্ত মনে হইলেও আসলে টা বৈচিত্রের পরিচায়ক পরস্পরের প্রচার বৈশিষ্টকে উত্সাহিত করা ইহাতে নিজের এবং অনুগত জনকে অমৃতময় বিচার এবং সঙ্গ গ্রহণে হতাশা না করে উত্সাহ সঞ্চার করে থাকি|
শ্রীল ভাক্তিপ্রমোদ পুরী গোস্বামী মহারাজের বৈষ্ণবগুনাবলীর একটি দিক:- এতএব ১৮ই নভেম্বর ১৯৯৪ সালে বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার ভিত্তি স্থাপন এক প্রয়োজনীয় শান্তি| আমি অনুভব করি যে শ্রীল জীব গোস্বামী আমাদের সকলকে তাঁহার আশির্বাদ প্রেরণ করিতেছেন এবং শ্রীল ভক্তি সিদ্বান্ত সরস্বতী ঠাকুর সমস্ত পূর্ব আচার্য্যগণ শ্রীল ভাক্তিপ্রমোদ পুরী গোস্বামী মহারাজের ন্যায় বিনয়ী শিক্ষিত সাধুর মাধ্যমে অত্র-বর্তমানে আছেন এটি এক আনন্দময় পদক্ষেপ| বৈষ্ণবগণ ভবিষ্যতে ইহা হইতে প্রচুর সহায়তা প্রাপ্ত হইবেন| এটাই ভক্তি বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য যে স্ব , স্ব গুরু প্রেরিত বিদ্যার্থীগণকে শ্রীল জীব গোস্বামী শিক্ষা দিবেন| শ্রী বৃন্দাবনের ভাবও এখানে বর্তমান, কারণ বহু সংখ্যক গুরুবর্গ একত্রিত হইয়া পরমেশ্বর ভগবানের মহিমা কীর্তন করেন| সরলভাবে একে অন্যের কার্য্যকে উচ্চ মর্যদা প্রদান করিতেছেন ইহা বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার রুপানুগজনের অনুসরণ করিয়া তদনুরূপ দ্যা বিশ্ববাসীকে প্রদর্শন করেন এবং শ্রীমায়াপুর নামক পবিত্র ধামে আবির্ভূত পরম করুনাময় প্রভু দ্বারা এই ভুলোকে আনীত সর্বোচ্চ মূল্যবান সম্পত্তি সমস্ত জীবগণকে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে প্রদান করেন| তাঁহার প্রেম বাণীতে সাম্প্রদায়িকাতার কোন স্থান নাই| বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার সাক্ষ্যাতকারে যখন আমি দিব্য গুরুবর্গের মূর্তি সকল দেখিয়া ছিলাম এবং সমবেত বৈষ্ণব গণের মধুর কীর্তন শ্রবণ করিয়াছিলাম তখন মাই কৃতজ্গ্নতা বোধ করিয়াছি, কারণ তিনি আমাকে এমনই সুন্দর পরিবারের মধ্যে আনিয়াছেন আমি তাঁহার উপস্থিতি অনুভব করিয়াছিলাম এবং আশা করি যেন বিশ্বের সমস্থ বৈষ্ণব তাঁহাদের ভুল ত্রুটি ও ভেদভাব বর্জন পূর্বক সেখানে উপস্থিত হউন|
বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার প্রতিবেদনের যোগ সম্পর্কের যে সাধারণ মঞ্চ তৈয়ার হইবে তাহাই প্রকৃত পক্ষে আমাদের এক নতুন সহযোগিতার বৈষ্ণব জগতে লইয়া যাইবে| আমি সতস্ফুর্ত ভাবে এই সংস্থায় যোগদান করিয়াছি| সকল বৈষ্ণবগণকে এই অনুপম সুযোগ গ্রহনের জন্য আমাদের একত্রিত হইতে আবেদন জানাই| যখন বিশ্ব জানতে পারবে এক অনুপম আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য চির সত্য বিভেদের মাঝে ঐবাত ঐক্যকে প্রকৃত ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে তখন বৈষ্ণব সিদ্বান্তের মর্য্যাদা আরো বেশি জনপ্রিয় হবে| সেই পুরাতন পরমাগত কঠোর নীতি সমূহ সঙ্গে প্রেমের মুক্ত প্রবাহ এবং বিভিন্ন মিলনের যোগদানের ফলে আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের শুদ্ধতা এবং লাবন্য ভাগাভাগী করে নিতে পারিব|
বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার কৃতগ্নতা বোধ
শ্রীল ভক্তি দয়িত মাধব গোস্বামী মহারাজের শিষ্য
শ্রীল মঙ্গল মহারজ
১. বিশ্ব বৈষ্ণব রাজ সভার বিষয় বিগ্রহ শ্রীকৃষ্ণ ও কৃষ্ণ প্রেমের আশ্রয় জাতীয় অবতার দুই প্রকার যথা- প্রেম শাসিত এবং প্রেমের বিষয় বিগ্রহ স্বরূপ, সর্বাকর্ষক প্রকৃত বাস্তব বস্তু এবং সমস্ত জীবের প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ|
২. এই চরাচর বিশ্বে কেবলমাত্র সেই দিব্য প্রেমের আনন্দময় প্রতিপাদক এবং এই প্রেম বিভিন্ন শক্তির মাধ্যমে প্রকাশিত ও মনোহর| শ্রীরাধাকৃষ্ণ লীলা বিষয়ক শ্রবণ ও কীর্তনের নামই সনাতন ধর্ম|
৩. স্বর্গরাজ্যস্থিত দেবগনের সুধর্ম সভায়ই বর্তমানে বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভায় রূপান্তরিত| তত্পরে শ্রীল গোস্বামীগণ দ্বারা এই সভা পরিচালিত হয় ও সুদক্ষ নেতৃত্বে, বিশ্বের নৈতিক ও পরমার্থিক কল্যানের জন্য শ্রীগৌরাঙ্গের মহাবদান্য বাণী প্রচারিত হয়|
৪. তারপর বাংলা সন ১৩০০ সালে উক্ত সভা শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর কর্তৃক পুনজীবিত হয় এবং শ্রীনবদ্বীপ ধাম প্রাচারিনী সভা নাম্নি এই সভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল গৌরবাণীর প্রচার|
৫. শ্রীচৈতন্য ও তত্শাখা সমূহের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ মহান আচার্য্য এবং প্রচার কার্য্য সারা বিশ্বে তাহার অত্যুন্নত ব্যক্তিত্বের দ্বারা সম্পাদন করেন|
৬. বিশ্বকোষ হইতে জানা যায় যে এই সমস্ত পূর্বার্নিত আচার্য্যগণ শাস্ত্রীয় সিদ্বান্তে নিরপেক্ষ ছিলেন| তাহারা অতি নম্রভাবে গুরুবাদের মহন্ত পদ্ধতিকে উপেক্ষা করিয়াছিলেন, কারণ এই পদ্ধতি পরমার্থিক উন্নতির পথে এক অভিশাপ| সেখানে গুরুধ্রুবই সত্গুরু বলিয়া বিচারিত হন| সঠিক বৈষ্ণব চরিত্রে আন্তরিকতা কৃতগ্নতা জ্ঞাপন করিলে তত্ক্ষনাত লোক বৃন্দাবনে নীত হয়|
সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০০৯
বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার কৃতগ্নতা বোধ
শ্রীল অভয় চরনারবিন্দ ভক্তি বেদান্ত স্বামী মহারাজের শিষ্য
গৌড়ীয় বৈষ্ণব সোসাইটির আচার্য্য শ্রীল বি.ভি.ত্রিপুরারী মহারাজ
ইহাও উল্লেখ করা আবশ্যক যে আমরা এই জগতে ভ্রমের মধ্যে নাহি, কি এই মহান উদ্দশ্যের বা কাজের কোন প্রকার বাধা আসিত পারে না| বিভিন্ন সংস্কার ও সভ্যতা হইতে আগত বৈষ্ণবগনের পর সুরের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করাই প্রধান অন্তরায়| বর্তমানে আমাদের মধ্যে কিছুটা যোগাযোগ রহিয়াছে তাহাতেও ভ্রমের সৃষ্টি রইয়াছে| এইগুলি কালির আশ্রয়| আমাদের বক্তব্য সমস্ত ব্যক্তিগত শর্তাদি ত্যাগ করিয়া বা নুন্যতম করিয়া বিশ্ববৈষ্ণব রাজসভার গঠন হওয়া উচিত|
বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার কৃতগ্নতা বোধ
শ্রীল ভাক্তিরক্ষক শ্রীধর দেব গোস্বামী মহারাজের শিষ্য
শ্রীপাদ ভক্তিনন্দন স্বামী মহারাজ
বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভা কেবলমাত্র বৈষ্ণবদের জন্য নহে| সমগ্র মানব জাতিকে পরমসত্যকে আশ্রয় সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছানো, এতএব স্থান, কাল, পরিবেশ অনুসারে বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার বিশেষ প্রয়োজন| খাদ্য বিতরণ, বিদ্যালয় স্থাপন, নিশিত বৈষ্ণব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হওয়া উচিত| বৈষ্ণব সংঘের সদস্য গনের মধ্যে ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত বিবাদে জড়িত হওয়া উচিত নহে অসাধুগনের মধ্যে অনৈক্য থাকিবে|
বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার কৃতগ্নতা বোধ
শ্রীল অভয় চরনারবিন্দ ভক্তি বেদান্ত স্বামী মহারাজের শিষ্য
শ্রীল জয়পতাকা স্বামী মহারাজ
আমি বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার সকলের দূর-দৃষ্টিকে সমর্থন করি| বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার নেতৃত্বে বিশ্বের বৈষ্ণব সমাজ বিশেষ ভাবে উপকৃত হইবে| আমি বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার পত্রে ১০৮ প্রকার নিয়ম পাঠ করিয়া সর্বসম্মতিক্রমে সমর্থন করিয়াছি|
শ্রীপাদ স্বরূপ দামোদর মহারাজ(পূজ্যপাদ শ্রীল অভয় চরনারবিন্দ ভক্তি বেদান্ত স্বামী মহারাজের শিষ্য ভক্তিবেদান্ত ইনস্টিটিউটের সভাপতি)|
ভক্তিবেদান্ত চ্যারিটি ট্রাস্ট বৈষ্ণবগণের ঐক্যের পক্ষপাতি| আপনাদের নিয়মাবলী আমরা গ্রহণ করিয়াছি|
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)